ভৌগোলিক পরিচিতি

কুড়িগ্রাম উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এ জেলার আয়তন ২২৪৫.০৪ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কুচবিহার জেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা, পূর্বে ভারতের আসাম প্রদেশের ধুবড়ী ও মেঘালয় রাজ্যের তুরা পার্বত্য জেলা, পশ্চিমে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলা। আন্তর্জাতিক সীমারেখা  রয়েছে ২৭৮.২৮ কিলোমিটার।

ভূ-প্রকৃতি – নদী বেষ্টিত পলি গঠিত সমতল ভূমি ও চরাঞ্চল। প্রধান নদী – ব্রক্ষ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর, ফুলকুমর, সোনাভরি, জিঞ্জিরাম, গংগাধর, হলহলিয়া। এছাড়াও নীলকমল, শিয়ালদহ, কালজানী, জালছিড়া, সংকোশ, বোয়ালমারি, ধরণী নদী এ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলার পটভূমি

উত্তর জনপদের একটি জেলা কুড়িগ্রাম। এ জনপদের ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে, আছে স্বকীয়তা, আছে বৈশিষ্ট্য। একদিনে এর ইতিহাস গড়ে ওঠেনি, একযুগে গড়ে ওঠেনি। সুদীর্ঘ যুগের চড়াই উৎরাই, ভাঙ্গা-গড়া, জয়-পরাজয়, আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে গড়ে উঠেছে এ জনপদ, এর মানুষ, এর জীবনধারা, এর বৈশিষ্ট্য। কীর্তিনাশা ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ফুলকুমার এ জনপদের যেমন অনেক কিছু গ্রাস করেছে, অন্যদিকে দেশী-বিদেশী নিষ্ঠুর শাসন-শোষণের যাতাকলে নিষ্পেষিত, বিপর্যস্ত হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। আশ্চর্য, তবুও মানুষ থেমে থাকেনি, এগিয়ে গেছে প্রতিনিয়ত লড়াই করে। উত্তর জনপদের বিচিত্র এ অঞ্চল, বৈচিত্রময় তার ইতিহাস।

অতি প্রাচীন এ জনপদ প্রাগৈতিহাসিক আদিম সভ্যতার লীলাভূমি। এ অঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা উপত্যকায় আদিম মানুষের প্রথম ঘটেছিল আবির্ভাব। নিগ্রো-অষ্ট্রিক দ্রাবিড়-মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর মিলিত রক্তধারায় গড়ে উঠেছে এখানকার প্রাচীন সভ্যতা-যা অনার্য সভ্যতা বলে সর্বজন স্বীকৃত। এ অঞ্চলের মানুষের চেহারায়, আকৃতিতে, রক্তে, ভাষায়, আচার-আচরণে প্রাগৈতিহাসিক জনগোষ্ঠীর ছাপই শুধু বিদ্যমান নয়, অনেক বৈশিষ্ট্য আজো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বিচিত্র এ জনপদ কখনো গৌড়বর্ধনে, কখনো প্রাগজ্যোতিষপুরে এ অঞ্চল ছিল অন্তর্ভুক্ত। গৌড়বর্ধন আজকের মহাস্থানগড়, প্রাগজ্যোতিষপুর কামরূপের প্রাচীন নাম আজকের আসাম। এ দুটি রাজ্য ছিল অনার্য অধ্যুষিত অঞ্চল। রাজ্যের রাজারা ছিলেন অনার্য। তারা দীর্ঘকাল ধরে আর্যদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রেখেছেন। দীর্ঘকাল ধরে অনার্য, কোল, ভিল, গারো, কোচ, মেচ, হাজং, কিরাত, কুকি, ভুটিয়া, নাগা, তিববতী, কাছার, অহোম ঐক্যবদ্ধভাবে আর্যদের বিরুদ্ধে সংগ্রামকরেছে, সমুন্নত রেখেছে তাদের স্বকীয়তা। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় আর্যরা সহজে প্রবেশ করতে পারেনি। তাই এ অঞ্চলে আর্য সভ্যতার কোন চিহ্ন নেই, পাওয়া যায়নি কোন পরিচয়। ব্রাহ্ম্য-ধর্ম এ অঞ্চলে সমাদৃত হয়নি। শংখচক্র গদাধরী কৃষ্ণ এখানে ঠাঁই পায়নি, পেয়েছে বংশীধারী কানু।

ভাঙা-গড়া, উত্থান-পতন ইতিহাসের বিধান। বিশাল কামরূপ রাজ্য খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে কুচবিহার রাজ্য, উয়ারী রাজ্য, অহোম রাজ্য, কুকি রাজ্য, ত্রিপুরা রাজ্য ও আরাকান রাজ্যের সৃষ্টি হয়। এ জনপদের উত্তরাংশ অর্থাৎ নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, লালমনিরহাট ও ভূরুঙ্গামারী ছিল কুচবিহার এবং দক্ষিণাংশ অর্থাৎ উলিপুর, চিলমারী ও রৌমারী ছিল উয়ারী রাজ্যভূক্ত। আজো উয়ারী রাজ্যের স্মৃতি উলিপুরথেকে ৪ মাইল পূর্বে উয়ারী নামক জনপদে দাঁড়িয়ে আছে যা হারিয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। এই জনপদে ময়নামতি, মানিকচাঁদ, গোপীচাঁদ, ভরচাঁদ, উদয়চাঁদ, অদুনা-পদুনার অনেক কাহিনী ও কিংবদন্তী ছড়িয়ে রয়েছে। এখনও কুচবিহার রাজ্যের অনেক স্মৃতি-চিহ্ন জেগে রয়েছে পাঙ্গা, মোগলহাট, লালমনিরহাট, ফুলবাড়ী, ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী অঞ্চলে।

বারোশো শতকের প্রথমদিকে রংপুরে খেন বংশের অভ্যুদয় ঘটে। এ বংশের রাজা ছিলেন নীলধ্বজ, চক্রধ্বজ ও নীলাম্বর। খেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন নীলাম্বর। তার রাজধানী ছিল চতরা নামক স্থানে। চতরা ছিল বর্তমান উলিপুর উপজেলার অন্তর্গত বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত। এখানেই ছিল রাজা নীলাম্বরের দুর্গ। নীলাম্বর ছিলেন এক শক্তিশালী রাজা। ১৪১৮ খ্রীষ্টাব্দে গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ আক্রমণ করেন নীলাম্বরের রাজ্য, তিস্তা নদীর পারে উভয় পক্ষের তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। এ যুদ্ধে রাজা নীলাম্বর পরাজিত হয়ে আসামে পালিয়ে যান। ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় রাজা নীলাম্বরের রাজধানী। নীলাম্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন সুলতান হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন আবুল মোজাফফর নশরত শাহ। খেন বংশের পতনের পর এ অঞ্চল মুসলিম সুলতানরা করায়ত্ব করে, পরে আসে মোগলদের করতলে। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষ বার-বার বিদ্রোহ করেছে, নেমেছে লড়াইয়ে। সেজন্য মোগল আমলে সেনাপতি মানসিংহ, সেনাপতি মীরজুমলা, এবাদত খাঁ, আলীকুলি খান, শাহ্ ইসমাইলগাজী প্রমুখকে সেনাবাহিনী নিয়ে ছুটে আসতে হয়েছে, দমন করতে হয়েছে বিদ্রোহ। কেননা হিমালয় পর্বত ও আসামের গাঢ় পাহাড় শ্রেণীর পাদদেশে অবস্থিত এ অঞ্চলের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম।

সংগ্রামী এ জনপদ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাজত্ব এ অঞ্চলের মানুষ মেনে নেয়নি। করেছে তারা মুক্তির সংগ্রাম। ব্রিটিশ কোম্পানীর দালাল দেবী সিং ও হরে রাম এ অঞ্চলের দেওয়ান হয়ে আসে। এদের অত্যাচার ও শোষণে দেখা দেয় ইতিহাস প্রসিদ্ধ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। এ অঞ্চলের হাজার হাজার নর-নারী-শিশু যেমন অনাহারে অর্ধাহারে মরেছে, তেমনি মুক্তির জন্য হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র। এ সংগ্রামে হিন্দু মুসলিম হয়েছিল একাত্ম। তারা মজনু শাহ, নুরউদ্দিন কারেক জং, ভবানীপাঠক, দেবী চৌধুরাণী, দয়াশীল, মুসা  শাহ, চেরাগ আলী শাহ্ প্রমুখের নেতৃত্বে করেছে জীবনপণ সংগ্রাম। ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, প্রজা বিদ্রোহ নামে এগুলো আখ্যায়িত করা হয়েছে বটে কিন্তু আসলে এগুলো ছিল এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম, আজাদীর সংগ্রাম। কত জীবন ঝরে গেছে, রক্তাক্ষরে লিখে গেছে নাম তার হিসেব নেই। আজো এ অঞ্চলের মাটিতে সংগ্রামীদের স্মৃতি অম্লান হয়ে আছে। এখনও পাঠকপাড়া, বজরা, সুভারকুঠি, নাউয়ার হাট, দূর্গাপুর, ফরকের হাট, উলিপুর, মোগলহাট, নাজিমখাঁ, বড়বাড়ী, চিলমারী, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, রাজারহাট, পান্ডুল প্রভৃতি জনপদে অনেক স্মৃতি ছড়িয়ে রয়েছে। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের অবদান স্মরণীয়। সেজন্য এ অঞ্চলের মানুষের উপর শুধু নির্যাতনেরই ষ্টিম রোলার চালান হয়নি, বরং এ জনপদকে অবহেলিত ও পঙ্গু করে রাখা হয়েছিল।

১৮৫৮ সালে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কাছ থেকে ভারতের শাসন ভার ব্রিটিশ সরকার নিজ হাতে তুলে নেয়। ব্রিটিশ সরকার শাসন-শোষণকে মজবুত করার জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে শক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে। কোম্পানী আমলে কুড়িগ্রাম চারটি বিভাগে (থানা) বিভক্ত ছিল। এ বিভাগগুলো হচ্ছে বড়বাড়ী, উলিপুর,চিলমারী ও নাগেশ্বরী। এখান থেকে কোম্পানীর কালেক্টররা নিয়মিত এসে রাজস্ব আদায় করে নিয়ে যেতো। তখন কুড়িগঞ্জ ছিল বড়বাড়ী বিভাগের একটি স্থান, বালাবাড়ী ছিল কুড়িগঞ্জের প্রধান কেন্দ্র। এখন সে বালাবাড়ী পাটেশ্বরীর পাশে অবস্থিত। ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৫ সালের ২২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত করে কুড়িগ্রাম মহকুমা। লালমনিরহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, নাগেশ্বরী ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী ও কুড়িগ্রাম থানা নিয়ে গঠিত হয় এ মহকুমা। স্যার উইলিয়াম হান্টার তাঁর Gazetter of the Rangpur District-এ কুড়িগ্রাম-কে কুড়িগঞ্জ বলেছেন। ১৮০৯ সালে ডাঃ বুকালন হ্যামিলটন তাঁর বিবরণীতে বলেছেন-Kuriganj of which the market place is called Balabari in a place of considerable trade (martins Eastern India)। মিঃ ভাস তাঁর রংপুরের বিবরণীতেও এ অঞ্চলকে কুড়িগঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কুড়িগঞ্জ নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে কেউ কিছুই বলেননি।

কুড়ি শব্দটি অনার্য। এখনো গ্রাম বাংলায়, বিশেষ করে এ অঞ্চলে কুড়ি হিসেবে গোনার পদ্ধতি চালু রয়েছে। বিশিষ্ট পন্ডিত জা পলিলুস্কি প্রমাণ করেছেন যে, গণনার এই পদ্ধতি বাংলায় এসেছে কোল ভাষা থেকে। কোল অষ্ট্রিক ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্গত। আরব অষ্ট্রিক ভাষায় কুর বা কোর ধাতুর অর্থ হলো মানুষ। কুড়ি হিসাবে গোনার পদ্ধতিটিও এসেছে মানুষ থেকেই। এ অষ্ট্রিক কারা? পন্ডিতদের মতে, প্রত্ন-প্রস্তর যুগে এ অঞ্চলে বাস করতো নিগ্রো জাতি। এরপর আসে নব্য-প্রস্তর যুগ। আসামের উপত্যকা অতিক্রম করে আসে অষ্ট্রিক জাতীয় জনগোষ্ঠী। তারপরে আসে দ্রাবিড় ও মঙ্গোলীয়। এদের মিলিত স্রোতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় মানব সভ্যতার সূচনা হয়। এরাই লাঙ্গল দিয়ে চাষের প্রবর্তন করেছে। কুড়ি হিসেবে গোনার পদ্ধতি করেছে চালু। নদ-নদীতে ডিঙ্গি বেয়েছে, খেয়েছে শুটকী, খেয়েছে বাইগন বা বেগুন, লাউ বা কদু, কদলী বা কলা, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা। করেছে পশু পালন। এঁকেছে কপালে সিঁন্দুর। করেছে রেশম চাষ। করেছে তামা, ব্রোঞ্জ ও সোনার ব্যবহার।

১৮৭৫ সালের ২২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী এই ৮টি থানা নিয়ে কুড়িগ্রাম মহকুমার জন্ম হয়। এরপর ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি (গেজেটের কপি সংযুক্ত) কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, ফুলবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর এই ৯টি উপজেলা নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায়  উন্নীত হয়।

 

প্রশাসনিক এলাকা সমূহ

কুড়িগ্রামের মোট আয়তন ২,২৩৬.৯৪ বর্গকিলোমিটার (৮৬৩.৬৯ বর্গমাইল)। কুড়িগ্রামে আছে –

উপজেলা ৯টি, থানা ১১টি, পৌরসভা ৩টি, ইউনিয়ন পরিষদ ৭২টি এবং গ্রাম ১,৮৭২টি। মোট পাকা রাস্তা আছে ৪১৪.৯২ কিলোমিটার (২৫৭.৮২ মাইল) এবং কাঁচা রাস্তা আছে ৪,২৬৭.৫৬ কিলোমিটার (২,৬৫১.৭৪ মাইল)।

 

উপজেলা সমূহ

এছাড়াও নাগেশ্বরী উপজেলায় কচাকাটা থানা, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ঢুষমারা থানা রয়েছে।

সংসদীয় এলাকা

কুড়িগ্রাম জেলায় সংসদীয় এলাকার সংখ্যা ৪টি।

  • কুড়িগ্রাম- ১ (নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী)
  • কুড়িগ্রাম- ২ (রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী)
  • কুড়িগ্রাম- ৩ (উলিপুর)
  • কুড়িগ্রাম- ৪ (চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর)

 

জনসংখ্যা ও ভোটার

  • জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা – ২,৩২৯,১৬১ জন, পুরুষ -১,১৪৫,২২২ জন, মহিলা- ১,১৮২,৬৮৮ জন এবং হিজরা- ৯১ জন।
  • মোট ভোটার- ১০৮১১৫৭ জন, পুরুষ- ৫৪১৮৯৫ জন, মহিলা- ৫৮১০৬২ জন।

 

অর্থনীতি

এই এলাকার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। এখানকার অর্থকরী ফসলের মধ্যে ধান, গম, আলু, পাট, তামাক, সরিষা, সুপারী, বাঁশ, আখ, ভুট্টা, বাদাম, পিয়াজ, কাউন উল্লেখযোগ্য। শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৮৯৩টি, ৪টি বড়, ২৭টি মধ্যম এবং ৮৬২টি কুটির শিল্প। মোট আবাদী জমির পরিমাণ ২,৫৯,৬০৮.২১ একর (১,০৫০.৫৯৭২ বর্গকিলোমিটার)।

 

শিক্ষা

শিক্ষার হার শতকরা ৫৬%। জেলার সর্বসাধারণের জন্য এখানে একটি সরকারি গণগ্রন্থাগার রয়েছে। যা শহরের প্রাণকেন্দ্র তথা কলেজ মোড়, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম-এ অবস্থিত।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হল-

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা:১টি
  • কলেজের সংখ্যা: ৬৪টি
  • হাইস্কুলের সংখ্যাঃ২৬৬টি
  • মাদ্রাসার সংখ্যা: ২৩৮টি
  •  

বিশ্ববিদ্যালয়

  • কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

কলেজ

 

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

  • মসজিদের সংখ্যা ৩৪৯৩টি
  • মন্দিরের সংখ্যা ১৮০টি
  • গির্জার সংখ্যা ৩টি

 

যোগাযোগ মাধ্যম

রেলপথ

১৬ই অক্টোবর ২০১৯ সালে, রাজধানী থেকে সেমিননস্টপ ট্রেন কুড়িগ্রামএক্সপ্রেস চালু হয়। এছাড়াও রংপুর এক্সপ্রেস এর শাটল ট্রেন কুড়িগ্রাম এর যাত্রীদের কাউনিয়াতে শাটল পরিবহন সুবিধা দেয়।

 

দর্শনীয়স্থান

  • ধরলাসেতু
  • ধরলাসেতু-২, ফুলবাড়ী উপজেলা
  • সোনাহাট স্থলবন্দর, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • প্রথমআলো চর
  • দাশেরহাট কালীমন্দির
  • কুড়িগ্রামের ১ম শহীদ মিনার (মজিদা কলেজ)
  • শাপলা চত্বর (কুড়িগ্রাম শহীদ মিনার)
  • বিজয় স্তম্ভ (স্টেডিয়াম সংলগ্ন)
  • ঘোষপাড়া মুক্তিযোদ্ধো স্মৃতিফলক
  • শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক
  • উত্তরবঙ্গজাদুঘর (নতুনশহর)
  • চান্দামারী মসজিদ
  • কোটেশ্বর শিবমন্দির
  • পাঙ্গা জমিদার বাড়ি
  • ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
  • টুপামারী (জিয়া পুকুর)
  • উলিপুর মুন্সিবাড়ী
  • ধামশ্রেণী মন্দির
  • জালার পীরের দরগাহ
  • উদুনা-পুদুনার বিল
  • বেহুলার চর
  • ভেতরবন্দ জমিদারবাড়ি
  • সোনাহাট ব্রিজ ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • ফুলসাগর
  • নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ি
  • চতুর্ভূজ সেনপাড়া শিবমন্দির
  • ধলডাঙ্গা বাজার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • কালজানি ঘাট ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • চিলমারী বন্দর
  • জয়মনিরহাট জমিদারবাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • মাধাইৱখাল কালী মন্দির নাগেশ্বরী উপজেলা
  • বহলকুড়ি ভারত ও বাংলাদেশ ১০০১ নাম্বার রাষ্ট্রীয় সীমানা চুক্তি পিলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা
  • চাকিরপশার বিল।
  • টগরাইহাটের অচিনগাছ।
  • দাশিয়ারছড়া (সাবেক ছিটমহল)
  • আমতলি সর্বজনীন দুর্গা মন্দির (রাজারহাট)
  • তুরাবন্দর, রৌমারী উপজেলা
  • রাজিবপুর সীমান্ত হাট
  • জেলার ১৬টি নদ-নদী
  • ৪২০ টির অধিক চরাঞ্চল
  • ব্রহ্মপুত্রনদ বাংলাদেশে প্রবেশমুখ-ঝুনকার চর থেকে খেয়ার চর।

 

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

 

 

তথ্যসূত্র:

  1. কুড়িগ্রাম জেলা – বাংলাপিডিয়া”। bn.banglapedia.org।সংগ্রহের তারিখ০১৯-১০-০২ ।
    1. “জেলা গুলোর শ্রেণি হালনাগাদ করেছে সরকার”। বাংলানিউজ ২৪। ১৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১নভেম্বর ২০২০।
    1. ফহিমা কানিজ লাভা, আলীমো. আবুনাঈম (ফেব্রুয়ারি২০১৯)। শহীদবুদ্ধিজীবীকোষ।৩৬বাংলাবাজারঢাকা-১১০০: আগামী প্রকাশনী।পৃষ্ঠা পৃ. ৩৬৬। আইএসবিএন 978 984 04 2198 5
    1. কুড়িগ্রাম জেলার তথ্য বাতায়ন (www.zpkurigram.gov.bd)।