জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, কুড়িগ্রাম সদর-২ (প্রস্তাবিত)
জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট, নাগেশ্বরী-১ এর (প্রস্তাবিত)
জেলা পরিষদ শিশুপার্ক (চলমান)

অন্যান্য প্রকল্পসমূহ

ক) কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় বর্তমানে কোন অডিটরিয়াম না থাকায় যেকোন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান করার জন্য স্থানীয় জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে বৃহৎ পরিসরে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলার দ্বারস্থ হতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যও তেমন কোন স্থান নাই। তাই অডিটরিয়াম-কাম-কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ বর্তমান সময়ের দাবি। তিনি সভায় আরও জানান যে, জেলা পরিষদ উলিপুর ডাকবাংলো সংলগ্ন জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গা রয়েছে। যেখানে ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম-কাম-কমিউনিটি সেন্টার  খুব সহজেই নির্মাণ করা সম্ভব। এটি নির্মিত হলে এই অঞ্চলের জনগণের দারুণ সুবিধা হবে।

খ) কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ভারত লাগোয়া বর্ডার এলাকা হওয়ায় ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে এবং সোনাহাট স্থল বন্দর থাকায় বিভিন্নমূখী উন্নয়ন কর্মসূচী চলমান রয়েছে। স্থল বন্দরের কার্যক্রম চলমান থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এখানে আসা-যাওয়া করছেন এবং কিছু সময়ের জন্য হলেও অবস্থান করছেন। কিন্তু বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত ব্যক্তিদের সময় কাটানো এক বিরাট সমস্যা হয়ে পড়েছে। তিনি সভায় আরও জানান যে, ভূরঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট নামক স্থানে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ২.২৫ একর জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গায় একটি বিনোদন পার্ক (শিশু পার্ক) নির্মাণ করা হলে জনসাধারণের বিনোদনের দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।

গ) কুড়িগ্রাম সদর ডাকবাংলোর পার্শ্বে একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে। ভবনটি অনেক পুরাতন হওয়ায় ভবনের বিভিন্ন স্থানে স্যাতস্যাতে ভাব রয়েই যায়। এ কারণে ভবনের রং করলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না এবং কোন আসবাবপত্র টেকসই হয় না। তাছাড়া জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির স্বার্থে এবং বর্তমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সদর ডাকবাংলোর ভবনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সভায় অবহিত করেন যে, পুরাতন ঐ ভবনটি ভেঙ্গে একটি নতুন চারতলা ভবন নির্মাণ করা হলে কক্ষের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জেলা পরিষদের রাজস্ব আয়ও অনেক বৃদ্ধি পাবে। এসকল বিবেচনায় দ্বিতল ভবনের স্থলে একটি নতুন চারতলা ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

ঘ) জেলা পরিষদের মালিকানাধীন খেয়াঘাটগুলো চর অঞ্চলে হওয়ায় প্রায়ই ঘাটে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এতে করে রাত্রি বেলা যাত্রীদের দারুণ অসুবিধায় পড়তে হয়। ঐ সকল ঘাটে সোলার স্ট্রীট লাইট স্থাপন করা হলে খেয়াঘাটের যাত্রীদের আলোর ব্যবস্থা হবে এবং পারাপারের ক্ষেত্রে দারুণ সুবিধা সৃষ্টি হবে।

ঙ) কুড়িগ্রাম জেলায় দুর দুরান্ত হতে অনেক কর্মজীবি মহিলা এখানে কাজের জন্য আসেন। কিন্তু তাদের পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা না থাকায় বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। কর্মজীবি মহিলাদের জন্য একটি হোষ্টেল নির্মাণ করা গেলে এ অসুবিধা লাঘব করা যাবে। এছাড়া জেলা পরিষদ হতে প্রতিবছর কিছু প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ সকল প্রশিক্ষণের জন্য জেলা পরিষদের নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় প্রশিক্ষণ প্রদান দারুণ অসুবিধা হয়। জেলা শহরে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় একটি টুইনওয়ান ভবন নির্মাণ করা হলে এ সকল অসুবিধা দূরীভূত হবে।

এ লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত প্রকল্পগুলো জেলা পরিষদ, কুড়িগ্রাম হতে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে

ক্রমিক নংপ্রকল্পের নাম
০১উলিপুর উপজেলা সদরে ৫০০ আসনবিশিষ্ট অডিটরিয়াম-কাম-কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ
০২ভূরুঙ্গামারী উপজেলার জয়মনিরহাট নামক স্থানে বিনোদন পার্ক নির্মাণ
০৩জেলা পরিষদের আয় বৃদ্ধির স্বার্থে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের দ্বিতল পুরাতন ডাকবাংলোটি অপসারণপূর্বক একটি ৪তলা ভবন নির্মাণ
০৪জেলা পরিষদের দুর্গম ও চর এলাকার খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপার ও জন নিরাপত্তার স্বার্থে ৯২টি সোলার স্ট্রীট লাইট স্থাপন
০৫জেলা সদরে একটি টু ইন ওয়ান ভবনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কর্মজীবি মহিলা হোষ্টেল নির্মাণ